দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চারজন মারা গেছেন। এ সময়ে নতুন ১ হাজার ৭২৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৯৩২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১ হাজার ৭২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ৮৪ হাজার ৭০০ জন। এর বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
দেশে নতুন চারজনের মৃত্যু নিয়ে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ১৮৫ জনে। এছাড়া
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, নতুন শনাক্তদের মধ্যে এক হাজার ২৭৪ জন ঢাকা বিভাগে, ৩৯ জন ময়মনসিংহ বিভাগের, ২২০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৩ জন রাজশাহী বিভাগে, ২২ জন রংপুর বিভাগে, ৫১ জন খুলনা বিভাগে, ৭২ জন বরিশাল বিভাগে ও ১৭ জন সিলেট বিভাগের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৯৩২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটি থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪৯৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৯ হাজার ২৭৩ জন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন দুই শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।
গত ২০ এপ্রিল করোনায় মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনায় মৃত্যু বেশি না হলেও আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।